আজ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আবদুল মামুন,সীতাকুণ্ড-
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখানকার ছাত্র-ছাত্রীদের ইসলামের বিভিন্ন শৃঙ্খলা, কোরআন, হাদিস, আরবী সাহিত্য, ইসলামিক স্টাডিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস, ইকোনোমিকস, আইটি, ফার্মাসী, টেকনোলজিস্ট ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা দিচ্ছে। শিক্ষার পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদেরকে দীক্ষাও দিচ্ছে। তারা (শিক্ষার্থীরা) দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। পৃথিবীর অনেক দেশেও তারা কাজ করছেন। ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। আইআইইউসি ইতিহাসের জন্য একটি অনন্য মাইলফলক। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে কুমিরা ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে আমি বক্তব্য রেখেছি। সেখানে আমি ড. আসিফ নজরুল সাহেবের নামও উচ্চারণও করিনি। কিন্তু ওনারা হেডিং করেছেন আসিফ নজরুলের বক্তব্য সরকারের বক্তব্য নয়। আমিতো এটা বলি নাই। আমার অডিও আছে। আই হেভ সেন্ড দিস অডিও টু দ্য চিফ এডভাইজার। এগুলো আমাকে জবাব দিতে হয়। এটা হচ্ছে কনস্ট্রাকটিভ জার্নালিজম (সাংবাদিকতা)।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, আমি ইসলামিক শিক্ষাটা প্রমোট করতে চাচ্ছি। সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থায়তো ইসলাম নাই। সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থা লাগবে। আমরাতো সেক্যুলার ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করে এসেছি। আমরা মনে করি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আধুনিক বিষয়ও আছে, ইসলামিক বিষয়গুলোও আছে আবার আধুনিক বিষয়গুলোও আছে। আমি মনে করি সেক্যুলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যদি ইসলামিক বিষয়গুলো রাখা যায়। তা না হলে আমরা ডাক্তার হব, ইঞ্জিনিয়ার হব, আইটি বিশেষজ্ঞ হব, টেকনোলজিস্ট হব, কিন্তু ইসলামের উপর আমাদের ধারণা থাকবে না। সেক্যুলার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমাদের কোন নেগটিভ ধারণা নেই, তবে ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, এখন আর কাউকে কথায় কথায় জঙ্গি বানানো, টুপি পরলে, হিজাব পরলে তাকে বিশেষ কোন দলের ট্যাগ লাগানোর সংস্কৃতি নেই। এটির অবসান হয়েছে। এই সংস্কৃতি থেকে আমরা ইতিমধ্যেই বের হয়ে এসেছি।আইআইইউসির ট্রাষ্টের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আইআইইউসি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান, সৌদি আরবের ইসলামিক কাউন্সিল ফর দাওয়াহ অ্যান্ড রিলিফের সেক্রেটারী জেনারেল প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আবদুল আজিজ আল-মুসলিহ। এতে বিশিষ্টজনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আইআইইউসির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য আ ন ম শামসুল ইসলাম, স্বনামধন্য ইসলামী স্কলার প্রফেসর ড. ইউসুফ নাসের আবদুল্লাহ আল দুরাইহিম, কুয়েতের ইসলামিক চ্যারিটেবল অর্গানাইজেশনের ডেপুটি ডাইরেক্টর আবদুল রহমান আবদুল আজিজ আল মোতাওয়া, সৌদি আরবের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স ডেপুটি মিনিস্টার আহমেদ আবদুল্লাহ সুরুর আল সাব্বান, ইন্দোনেশিয়ার সংসদ সদস্য এরউইন আকসা, মিশরের সাবেক তথ্যমন্ত্রী, ইসলামিক ইউনিভার্সিটিজ লীগের সেক্রেটারী জেনারেল প্রফেসর ড. সামী মোহাম্মদ রাবী আস শরীফ, আলজেরিয়ার ডেপুটি স্পিকার ইউসুফ আজিসা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্সিয়াল মন্ত্রণালয়ের বিচার ও ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আল সাইয়েদ আলী আল সাইয়েদ আবদুল রহমান আল হাশিম, আইআইইউসির ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী এবং বিওটি সদস্য প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী প্রমুখ।