আজ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নওগাঁ (মান্দা) প্রতিনিধি,
নওগাঁর মান্দায় অধিকাংশ ইটভাটাই প্রকাশ্যে পোড়ানোর কাঠ। চারপাশ সবুজে ঘেরা গ্রাম আর ফসলের মাঠের পাশে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ৩৩ টি ইটভাটা। হাতে গুনা দু-চারটি ছাড়া অধিকাংশ ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তি সনদ ছাড়াই নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাটা গুলো বছরের পর বছর ধরে চালু রয়েছে। কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। কাঠ পোড়ানো কালো ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে মিশে যাচ্ছে বাতাসে, এতে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। রহস্যজনক কারণে উল্লেখযোগ্য কোন ব্যবস্থা নেননি স্থানীয় প্রশাসন, এমনটাই বলছেন সচেতন মহল।
সরেজমিনে উপজেলার সাহাপুর এলাকায় অবস্থিত মতিন ব্রিক্সের, বিজয়পুরে এম এস ব্রিকস, চৌবাড়িয়া কে বি এফ ব্রিকস ও হিরো ব্রিকস, আন্দারিয়া পাড়ায় পি,বি,সি, ব্রিকস, সবিরন ব্রিকস ও সালেহা ব্রিকস, ও দোসতী কালিকাপুর এ কে বি ব্রিকস, গিয়ে দেখা যায় প্রকাশ্যে শ্রমিকরা কাঠ প্রস্তুত করছেন। অনেক ভাটায় কাঠ প্রস্তুতিতে মিনি (স-মিল) বসানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, ইট ভাটা গুলোতে প্রকাশ্যে কাঠ পোড়ানো হলেও কোন ব্যবস্থা নেই। ভাটার কালো ধোঁয়া, ধুলাবালির কারণে বিভিন্ন গাছের ফল ও আশপাশের ফসল জমিতে নষ্ট হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক বলেন, আলু, ফুলকপি, গম, চাষ করেছিলাম কিন্তু ভাটার গাড়ি চলাচলের ধুলাবালুর স্তর পড়ে গাছ বের হওয়ার পরেই মরে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে ফসলী জমি অনাবাদি হয়ে যাবে। একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করা হলেও ভাটা মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় কোন প্রতিকার মিলে নি।
তবে কয়েকজন ইটভাটা মালিকের কাছে কাঠ পোড়ানোর কারণ জানতে চাইলে তাঁরা বলছেন, পর্যাপ্ত কয়লা না পাওয়া এবং কয়লার মূল্য বৃদ্ধি, বিভিন্ন দপ্তরে সখ্যতাসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে কাঠ পোড়ানোর কথা স্বীকার করেন তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, কয়লার পরিবর্তে যারা কাঠ পোড়াচ্ছেন তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যে সকল ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।