আজ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৯ডিসেম্বর সাঁথিয়া হানাদারমুক্ত দিবস।
শামীম আহমেদ পাবনা জেলা প্রতিনিধিঃ-
আজ সাঁথিয়া হানাদার মুক্ত দিবস
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তৎকালীন জাতীয় পরিষদ সদস্য অধ্যাপক আবু সাইয়িদের নির্দেশে নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে এলাকার ছাত্র, যুব তরুণরা সংগঠিত হয়ে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি বাহিনী ও এ দেশীয় দালালদের সঙ্গে ১৯ এপ্রিল সাঁথিয়ার পাইকরহাটির ডাব বাগান (শহীদ নগর) যুদ্ধে অংশ নেয় মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ ও বিডিআর। ওই যুদ্ধে ২০ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় ২০০ নিরীহ গ্রামবাসী শহীদ হয়। পাবনা জেলার সাঁথিয়া পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও স্থানীয় রাজাকারমুক্ত হয় ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর।
১৪ মে উপজেলার বাউশগাড়ী নিরীহ ৮০০ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনারা। ২৭ নভেম্বর একই এলাকায় হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ ঘুমন্ত মানুষদের। যুদ্ধে অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। বিভিন্ন গ্রামের সহস্রাধিক মানুষকে স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যা করে। এলাকার শত শত যুবতী ও মহিলা সম্ভ্রম হারান। সাঁথিয়ায় পাকিস্তানি সেনারা এলাকায় বহু লোকের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয় ও ব্যাপক লুটপাট চালায়। ৮ ডিসেম্বর সাঁথিয়ার সবাই পাকিস্তানি বাহিনী সাঁথিয়ায় প্রবেশ করছে এ সংবাদে মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে থানা সদর থেকে দুই কিমি পশ্চিমে নন্দনপুরে পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে চূড়ান্ত মোকাবিলায় অবতীর্ণ হয়। মুক্তিযুদ্ধাদের তুমুল আক্রমণে টিকতে না পেরে পাকসেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পর দিন ৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা সাঁথিয়া থানা চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে বিজয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সাঁথিয়া থানাকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা দেন।
সাঁথিয়ার মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ বলেন, সাঁথিয়ার সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে আমরা ৯ ডিসেম্বর সাঁথিয়াকে হানাদার মুক্ত করি। বৃহত্তর সিরাজগঞ্জ-পাবনা জেলার মধ্যে আমরাই প্রথম হানাদার মুক্ত হই। সাঁথিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড দিনটি যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।