আজ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, যারা বলে ৭ তারিখের আগে সরকারের পতন হবে, তারা এই কথা গত ৭ বছর ধরে বলে আসছে। কিন্তু সরকারের পতন ঘটেনি। আরব দেশের একটা প্রবাদ আছে, কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ করে, উটের কাফেলা এগিয়ে যায়। আমাদের কাফেলা, নৌকার কাফেলা সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। পেছনে কেউ ঘেউ ঘেউ করলে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা সামনে এগিয়ে যাব, মানুষের কল্যান করবো।
আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে কাটাখালি পৌরসভা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আয়োজনে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে কাটাখালির মাসকাটাদিঘী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে বিশাল নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশাল নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যারা ৭ তারিখের আগে সরকারের পতনের কথা বলেছিল, তারা এখন কোথায় কী করছে, আপনারা, আমরা সবই দেখছি। কেউ নির্বাচন ব্যাহত করতে বা ভোট প্রদানে বাধাগ্রস্ত করতে আসলে তাদেরকে নিজ দায়িত্বে প্রতিহত করতে হবে। ৭ জানুয়ারি জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রমাণ করবে, তারা শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে, উন্নয়নের সঙ্গে আছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যারা ২০১৪, ২০১৮ সালে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল, তারা গত এক বছর ধরে নানা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে। তারা বাসে, ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে প্রমাণ করেছে, তারা অতীতের ন্যায় অগ্নি সন্ত্রাসের সঙ্গেই আছে। তারা মানুষের কল্যান করতে পারে না।
রাসিক মেয়র লিটন বলেন, নৌকা হচ্ছে উন্নয়নের প্রতীক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে যাবে। দেশের অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো। এছাড়া আগামী ৫ বছরে ১ কোটি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। নির্বাচনের পর অনেক চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। আপনাদের ছেলে-মেয়েদের তার জন্য প্রস্তুত করুন।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এখানে জুট ও সুগার মিল ঠিকমতো চলছে না। এগুলো ভালোমতো চালানোর যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। রাজশাহীতে নৌবন্দর প্রতিষ্ঠা করা হবে। নৌবন্দর চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদকে নির্বাচিত করুন।
নির্বাচনী সভার প্রধান বক্তা রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরো যাবে। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমি আমার এলাকার উন্নয়নে ও জনগণের কল্যানে কাজ করতে চাই।
কাটাখালি পৌরসভার সাবেক মেয়র ও কাটাখালি পৌর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মো. আব্বাস আলীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, কাটাখালি পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আব্দুল খালেক প্রমুখ।
কাটাখালি পৌর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এ্যাড. জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান বাবু, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু, রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন কবিরাজ, মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক এনামুল হক, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন, সদস্য মাসুদ রানা, হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেবর আলী, কাটাখালী পৌর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল মোক্তাদির, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, বর্তমান সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমদ রুনু সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।