আজ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি,
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শুকক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে শাহ আলম (৩৫) নামের এক বেকারি শ্রমিকের খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার সেকেন্ড অফিসার কায়কোবাদ।
নিহত শাহ আলম সাতকানিয়া থানাধিন ১৬নম্বর সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রুপ কানিয়া ৯নম্বর ওয়ার্ডের মাইজপাড়া জাহাঙ্গিরের বাড়ীর মৃত নূর মোহাম্মদের পুত্র।
জানা গেছে, নিহত শাহ আলম বাঁশখালী উপজেলার পৌরসভাস্থ মায়ের দোয়া বেকারিতে শ্রমিকের কাজ করতো। এখানে সে প্রায় দুই বছর ধরে আছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ওই বেকারিতে ভাত খেতে বসে শাহ্ আলম। সেখানের আরেকজন শ্রমিক উপজেলার স্থানীয় পূর্ব-জলদী লস্কর পাড়া সিন্নিপুকুর পাড় এলাকার মাহাবুব আলমের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মারামারি হয়। বিষয়টি জেনে বেকারির মালিক এজহারুল হক দুইজনকে ডেকে সরিয়ে দেন। পরেরদিন সকালে প্রায় সাড়ে পাঁচটার দিকে দেখা যায় শাহ্ আলম রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বেকারিতে। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বেকারির মালিক এজহারুল হক জানান, ‘গতকাল দুপুরে নিহত শাহ আলমের সাথে মাহাবুব আলমের কথা কাটাকাটি হয়। মারামারির খবর পেয়ে তাদেরকে সরিয়ে দিই। এদিন রাতে শাহ্ আলম সহ ৭/৮জন শ্রমিক বেকারিতে ছিলেন। মাহাবুব প্রতিদিন বাড়িতে চলে যায়। সকালে আসেন কাজে। ঘটনার রাতে শাহ আলমের সাথে থাকা কয়েকজন ফজরের নামাযের জন্য চলে যায়। শাহ্ আলম উঠে দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যায়। নামায শেষে আসা শ্রমিকরা শাহ আলম কে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহত শাহ আলমের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। এ নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার চাই। এ বিষয়ে বাঁশখালী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাঁশখালী থানার ওসি তদন্ত শুধাংশু শেখর হালদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ‘বেকারির শ্রমিক শাহ আলমকে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা উদঘাটনে পুলিশ তৎফর রয়েছে। এঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও সন্দেহজনক মাহাবুব আলম নামের একজন পলাতক আছে। এ বিষয়ে আইনগত পক্রিয়া অব্যাহ রয়েছে।