আজ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোঃ মামুন হোসাইন। স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীতে স্বামীকে হত্যার পর অন্যকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে নিজেই ফেঁসে গেলেন স্ত্রী জিনিয়া ইসলাম মিম।
পটুয়াখালী পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ডের কলাতলা আকন বাড়ি সড়কে আলিম আকনের ভাড়া বাসায় জিনিয়া ইসলাম মীম (২০) নামের এক নারী তাঁর স্বামী রাকিব (২৫)কে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে কুপিয়ে হত্যার পর অন্য কাউকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে থানায় গিয়ে পুলিশকে জানায় আমার স্বামী রাকিব হাওলাদারকে কে বা কাহারা কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে, তার কথায় পুলিশের সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য, এসময় মিম বলেন আমার স্বামী আমাকে সন্দেহ করে যে আমি পরকিয়ায় লিপ্ত তাই সে আমাকে বিভিন্ন সময় মারধর করে এতে আমি ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পনা করি তাকে মেরে ফেলতে হবে, এরপরে ঘরে কেউ না থাকায় ১মার্চ রোজ শুক্রবার আসরের আজানের পর আমি ও রাকিব ঘরের মধ্যের খাটে শুয়ে থাকি একপর্যায়ে রাকিব ঘুমিয়ে পরলে তখন প্রতিবেশী রাসেলের বাসা থেকে একটি ধারালো বটি নিয়ে প্রথমে মাথায়, পরে বুকে ও ডান পায়ে কোপ দেই, কোপে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়ায় পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করি।
এঘটনায় মীমকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পাশাপাশি রাকিবের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।পুলিশ জানায়। জিনিয়া ইসলাম মীম নামের এই নারী তাঁর স্বামীকে খুন করে পটুয়াখালী সদর থানায় গিয়ে দায়িত্বরত অফিসারকে বিষয়টি জানান। পুলিশ তাঁর কাছ থেকে বাসার ঠিকানা নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে রাকিবের মরদেহ উদ্ধার করে।এবং নিহত রাকিবের মাথা ও বুকসহ একাধিক স্থানে কোপের চিহ্ন রয়েছে।
রাকিবের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন আসরের আজানের আগে রাকিব ও মীম বাসায় আসে। আমি আসরের নামাজ পড়তে গেছি। নামাজ পরে এসে দেখি তারা বাসায়। আমার ছোট ছেলে এসে বলে বড় ভাই (রাকিব) এর গলার মধ্যে কেমন যেন শব্দ করে। এ খবর শুনে আমি মীমদের ঘরে গেলে মীম জানায় রাকিব ঘুমাচ্ছে। এ কথা শুনে ফিরে আসি। পরে আমি মাগরিবের নামাজ পরে সামনে চায়ের দোকানে বসি এসময় রাত আনুমানিক ৮/৩০ মিনিটের সময় আমার ছোট ছেলে জানায়,বাসায় পুলিশ এসেছে রাকিব ভাইকে তার বউ মেরে ফেলছে। রাকিবের বাবা নজরুল ইসলাম এ ঘটনায় মীমের ফাঁসি দাবি করেন।স্থানীয়রা জানান রাকিবের দাদা মারা যাওয়ায় রাকিবের বাবা নজরুল ইসলাম শোকাহত থাকার এই সুযোগে জিনিয়া ইসলাম মিম এ কাজ করেন।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আহমাদ মাঈনুল হাসান বলেন, ‘হত্যার বিষয়টি আশেপাশের লোকজন টের পায়নি। খুন হওয়া ব্যক্তির ছোট ভাই ঘটনাস্থলের একটু দূরে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, তিনিও টের পাননি। কেন কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানার চেষ্টা চলছে।