প্রকাশিত হয়েছেঃ সেপ্টেম্বর, ১১, ২০২৪, ১:৪৫:অপরাহ্ণ , সর্বশেষ আপডেটঃ ০১:৪৫:৩১
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি,
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কাজীর বাড়ির আনোয়ার একই এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জুর বিরুদ্ধে জোর করে জায়গা দখলে রাখার অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।অপরদিকে মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জুও আনোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিল বলে মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু জানান।
১০সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি জানা যায়।
আনোয়ারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,
আর.এস ১২৯৫ নং খতিয়ানে ২৩২৬/ ২৩২৫ দাগে ৬৫ শতক জমির মধ্যে কাছিম আলী ৩ ভাগের ২ অংশে ৪৩.৩৩ শতক প্রাপ্ত হয়। কাছিম আলী দখলে থাকিয়া মৃত্যুবরণ করিলে বাচা মিয়া, মফিজ উল্লাহ, অছিয়র রহমান, ফজল আলী, আবদুস ছালাম ওয়ারিশ হয়। পারিবারিক আপোষ মতে ২৩২৬ দাগে ৫৫ শতক জমি আবদুস ছালাম, মফিজ উল্লাহ ও অছিয়র রহমান প্রাপ্ত হয়। তৎ মধ্যে অছিয়র রহমান ০১ শতক আর এস ২৩২৫ দাগের জমি অছিয়র রহমান ০৯শতক সর্বমোট ১০ শতক প্রাপ্ত হয়। আবদুস ছালাম ও মফিজ উল্লাহর স্বত্ব সরকারী ভাবে একোয়ার করে।উক্ত একোয়ারকৃত জমি আবদুস ছালাম বিগত ১১/০৬/১৯৯৫ ইং তারিখে আম্বিয়া খাতুনকে অছিয়ত করিয়া দখলে দেন। অছিয়র রহমান মৃত্যুবরণ করিলে জামাল হোসেন, জেবল মুল্লক, জালাল আহমদ ও নবিদা খাতুন ওয়ারিশ হয়। তাহাদের নামে বি.এস ৩৬১নং খতিয়ানে ৫৫১৪ দাগে ১০ শতক জমি একোয়ারকৃত রাস্তার দক্ষিণ পার্শ্বে জামাল গং এর নামে মন্তব্য ও স্বত্ত্বের কলামে বি.এস রেকর্ড চূড়ান্ত প্রচার আছে। জালাল আহমদ মৃত্যুবরণ করিলে আমি ওয়ারিশ হিসাবে তপশীলোক্ত জায়গা প্রাপ্ত হই। একোয়ার সংলগ্ন বি.এস ৫৫১৪ দাগে আমি বসত ঘর স্থিত আছে। একোয়ারকৃত জায়গায় আবদুস ছালামের বিগত ১০০ বৎসরের
পুরাতন মাটি ঘর স্থিত ছিল। বি.এস ৫৫১৪ দাগের উত্তর পার্শ্বে একোয়ারকৃত জায়গা আমার পার্শ্ববর্তী হওয়ায় আমি দীর্ঘ বৎসর যাবৎ ভোগ দখলে থাকিয়া আমি বিভিন্ন জাতের গাছ রোপন করিয়া রক্ষণাবেক্ষণ করি। একোয়ারকৃত জায়গায় বিবাদী কোন সময় দখলে ছিল না। আমি বিদেশ অবস্থান করার সুযোগে গত
০৮ বৎসর যাবৎ বিবাদী রাজনৈতিক দলীয় প্রভাব দেখাইয়া একোয়ারকৃত জায়গায় স্থিত আমার রোপিত গাছ ও পুরাতন মাটি ঘর ভাংচুর করিয়া জোর পূর্বক দখল করিয়া রাখে।
এব্যাপারে মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি কারো জায়গা দখলে রাখিনি।আমি আমার জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছি।কেউ যদি ডকুমেন্ট দেখিয়ে জায়গা পাবে বলে প্রমাণ করতে পারলে আমি জায়গা ছেড়ে দেব বলে জানান।
এব্যাপারে সাতকানিয়া থানার সাব ইনসফেক্টর রায়হানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।