আজ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হাফিজুর রহমান খান, স্টাফ রিপোর্টার:: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে নানান রকম শিল্পকারখানা তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে এই প্রকল্পে ১২০০ জন বিদেশিসহ প্রায় ১১ হাজার দেশের লোকসহ স্থানীয়রা কাজ করছে। স্থানীয় অধিবাসীদের প্রশিক্ষণের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ৷ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হলে অত্র এলাকার অর্থনৈতিক চিত্র এবং জীবনমান পাল্টে যাবে। সেইসাথে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র আধুনিক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবস্থার পথে বাংলাদেশকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। আজ মাতারবাড়ী (৬০০×২) ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্রজেক্ট পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে নির্মাণাধীন প্রকল্পটির কাজ ইতোমধ্যে প্রায় ৭৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এখান থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। কোভিডের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও এখানকার প্রকৌশলী ও কর্মীবৃন্দ নিরলস কাজ করেছেন। বর্তমানে সার্বিকভাবে কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। সেইসাথে সঞ্চালন লাইনের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ঘিরে প্রাথমিক জ্বালানি পরিবহণের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নিজস্ব জেটি।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসএম আবু হয়দার, প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ৷
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি কক্সবাজার সফরের প্রথম দিন ছিল ৷ রাতে মারমেইড বিচ রিসোর্টে রাত্রিযাপন করে শুক্রবার সকালে ঢাকা উদ্দেশ্যে রওনা করবেন বলে জানান, মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম ৷