আজ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চট্টগ্রামে মহা সমাবেশ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে চট্টগ্রামবাসী প্রস্তুত!
<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>
ডেক্স রিপোর্ট,
চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে জেগে উঠেছে পাড়া-মহল্লা। রাস্তায় রাস্তায় প্রধানমন্ত্রীকে বরণের ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
২ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। পলোগ্রাউন্ড মাঠের আশপাশের সবকিছুই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাঠ থেকে সব ধরনের ব্যনার-ফেস্টুনগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিশাল মঞ্চের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। নগরজুড়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলে নেতা কর্মীরা যোগ দিচ্ছে। উপজেলাগুলো থেকে নেতাকর্মীরা আসতেছে গাড়িবহরে।১মাস ধরে ঘুম নেই নেতাকর্মীদের। সব বিভেদ ভুলে একাট্টা এখন নগর আওয়ামী লীগ নেতারা। নেতারা যে যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছেন সমানতালে। জনসভা পরিণত হবে জনসমুদ্রে- এটাই এখন নেতাদের একমাত্র লক্ষ্য। জনসভায় দেশবাসীর উদ্দেশে গুরুত্বপূণ্য বক্তব্য দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ জনসভাকে অতি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন চট্টগ্রামের মানুষ। ধারণা করা হচ্ছে দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের জনসভা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবেন। প্রধানমন্ত্রী কী মেসেজ দেশবাসীর উদ্দেশে দেবেন এ নিয়ে এরই মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা।আজ ৪ডিসেম্বর রবিবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের জনসভা। প্রায় ১০ বছর পর চট্টগ্রামের কোনো জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রাম মহানগরীর সবচেয়ে বড় মাঠ বলে খ্যাত রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন।
এরই মধ্যে মাঠে তৈরি হয়েছে নৌকার আদলে মঞ্চ। মাঠ ঘিরে বেশ কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) জনসভার সময় সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। সমাবেশের দিন মাঠ ঘিরে সাড়ে সাত হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে সিএমপি।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাঠে যারা আসবেন তাদের ওপর কঠোর নজরদারিও রাখা হবে। শহরজুড়ে এরই মধ্যে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন শেষে কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, জনসভাকে ঘিরে গড়ে তোলা হবে তিন স্তরের নিরাপত্তা। পলোগ্রাউন্ড মাঠের ভেতরে ও বাইরে আমাদের সাড়ে সাত হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, ‘স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) পুরো আয়োজন তদারকি করছে। তাদের পরামর্শ মতে, পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা ও ড্রোন থাকবে। মূলত, শহরজুড়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে চট্টগ্রামবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। নগরীজুড়ে ছেয়ে গেছে পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে। তবে মাঠের ভেতরে কোনো নেতার নামে ব্যানার, ফেস্টুন থাকছে না। এরই মধ্যে লাগানো সবগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে নগরীর বিভিন্ন স্থানসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতার নামে প্রচার-প্রচারণা হয়েছে। যে যেভাবে পারছেন জনসভাকে কেন্দ্র করে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য কেউ কেউ গাড়িবহর নিয়ে র্যালির আয়োজনও করেছিলেন। আবার কেউ কেউ করেছেন গণমিছিল। প্রধানমন্ত্রী যাতে তার সঙ্গে আসা নেতাদের নিয়ে সহজে বসতে পারেন তার জন্য ১৬০ ফুট দীর্ঘ বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মঞ্চের সামনে ৪০-৮০ ফুটের মধ্যে বসবেন ২০০ জন অতিথি। আশপাশে বসানো হচ্ছে সাতটি বড় পর্দা। যাতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সহজে মানুষ শুনতে পারেন তার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মঞ্চের সামনে মুক্তিযোদ্ধা, ভিআইপি ও নারীদের বসার জন্য পৃথক প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে মিছিল-সমাবেশের আয়োজন করেইছিল। নগর আওয়ামী লীগ নেতারা যেকোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা শাখার নেতারা পৃথকভাবে লোকসমাগম করার পরিকল্পনাও নিয়েছেন। পলোগ্রাউন্ডে এসে সবাই জড়ো হবেন।
প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে উল্লেখ করে নগর আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে লালদীঘি ময়দানে চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিজ হাতে তুলে নেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। তাই আজ আমাদের নেত্রীকে স্বাগত জানাতে চট্টগ্রামবাসী উন্মুখ হয়ে আছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জনসভা জনসমুদ্রে রূপ নেবে। স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভা করতে আমরা প্রস্তুত।
আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মালেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ৪৫হাজারের বেশি লোক আনোয়ারা কর্ণফুলী থেকে যোগদান করবেন।প্রায় ছোট বড় ৩শতাধিক গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে বলে জানান।
দ্বীপ উপজেলা সন্দীপ থেকে জাহাজে করে লোক আসবে উল্লেখ করে সন্দীপের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় সন্দীপ থেকে ২০ হাজারেরও বেশি লোক আসবে। আমি দুটো বড় জাহাজ দিয়েছি। এগুলো সদরঘাটে ভিড়বে। আরো ছোট ছোট ট্রলার ও স্পিড বোটও দেওয়া হবে। সন্দীপের লোকজন যাতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পারে তার জন্য শনিবার মধ্যরাতে সবাই রওনা হয়েছেন।
সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম মোতালেব সি আইপি বলেন, সাতকানিয়া লোহাগাড়া থেকে ২০হাজারের অধিক লোক পলোগ্রাউন্ডে যাবেন। এরই মধ্যে শতাধিক গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে।সমাবেশে যোগদান করার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান।
প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মামুন বলেন, ২০হাজারের অধিক লোক যাবে এবং ছোট ব ৩শরও অধিক গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে বলে জানান।
জনসভায় সরকারি সুবিধা ব্যবহার করবে না আওয়ামী লীগ
এদিকে জনসভায় আওয়ামী লীগ সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করবে না বলে জানিয়েছেন হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক। শুক্রবার নগরের জামালখানে চট্টগ্রাম সিনিয়রস ক্লাবে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলোগ্রাউন্ডে জনসভা সফল করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোনো জনসভা হয় না। এখানেও হচ্ছে না। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় আইন অনুযায়ী এসএসএফ নিয়োজিত থাকে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় অনেক বিষয় সংশ্লিষ্ট থাকে। কোনো এলাকায় প্রধানমন্ত্রী এলে তিন-চার মাস আগে প্রস্তুতি শুরু হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশকে ঘিরে তৈরি হয়েছে গানও
আগামীকাল ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে একটি গানও। এটি লিখেছেন হুমায়ুন চৌধুরী সরকার নামের এক শিল্পী। এরই মধ্যে গানটি বেশ সাড়া ফেলেছে। এ গানে আওয়ামী লীগ সরকার আমলের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরা হয়েছে। প্রায় ৯ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের গানটি গেয়েছেন শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের, সামিনা চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট কামরুল আযম টিপু। গানটিতে কর্ণফুলী টানেল, পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভারে উন্নয়নের ছোঁয়ায় বাংলাদেশের পরিবর্তনের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
উদ্বোধন করবেন ৩০টি প্রকল্পও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে শুধু জনসভা করবেন না উদ্বোধন করবেন ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পও। চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন তিনি। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সাধারণ শাখার দায়িত্বে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আগামীকাল ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম আসছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন এবং ৪টি প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করবেন।
সড়কে যানবাহন চলাচলে থাকছে যেসব বিধিনিষেধ
৪ডিসেম্বর রবিবার সকাল ৮টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ রাখা হবে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সিএমপি জানায়, প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ ছাড়া ওইদিন সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত আন্তজেলা যাত্রীবাহী এসি ও নন-এসি বাস মহানগরে প্রবেশ করতে পারবে না। সিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) পংকজ দত্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ রাখা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য নির্দেশনায় সব ধরনের যানবাহনের চালক, যাত্রীসাধারণ ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সবাইকে যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ নগরের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে।
পুলিশ জানায়, নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে র্যাডিসন গোলচত্বর, ইস্পাহানি মোড়, টাইগারপাস হয়ে পলোগ্রাউন্ড সমাবেশস্থল এবং পলোগ্রাউন্ড মাঠ থেকে টাইগারপাস, ইস্পাহানি মোড়, র্যাডিসন গোলচত্বর হয়ে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়কে রবিবার সকাল আটটা থেকে সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সমাবেশে আগত ছোট-বড় গাড়ির পার্কিং স্থান নিধারণসহ সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই মধ্যে রয়েছে নগরের হাই-লেভেল রোড, ওয়াসার মোড়, জমিয়াতুল ফালাহ্ পশ্চিম গেট ইউটার্ন, লালখান বাজার ফ্লাইওভারের নামার মুখ, আলমাস মোড়, চানমারি রোড, ম্যাজিস্ট্রেট কলোনি রোডের মুখ, সিটি করপোরেশনের অফিস গলির উভয় মুখ, দেওয়ানহাট ব্রিজের মুখ, টাইগারপাস মোড়, আমবাগান রেলক্রসিং, কাজীর দেউড়ী, নেভাল অ্যাভিনিউ, ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট, রেলওয়ে অফিসার্স কলোনি মসজিদ, কুক আউট রেস্টুরেন্ট, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কাঠের বাংলো, ফ্রান্সিস রোড, আটমার্সিং, এনায়েত বাজার, পুরাতন রেলস্টেশন, কদমতলী মোড়, নিউমার্কেট মোড়, সিটি কলেজ মোড়, ব্রিজ ঘাট (অভয়মিত্র ঘাট), নতুন ব্রিজ (মেরিন ড্রাইভ রোডের মুখ), আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে ওঠার মুখ (বেবি সুপার মার্কেট), ষোলশহর ২ নম্বর গেট পুলিশ বক্সের সামনে, ফ্লাইওভারে ওঠার মুখ (এন মোহাম্মদ মুরাদপুর), পেনিনসুলা হোটেলের সামনে, শহীদ শাহজাহান মাঠের সামনে (আমবাগান রোড), পাঞ্জাবি লেইনের মুখ (জাকির হোসেন রোড), আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়। এসব রুটের মুখে রোড ব্লক স্থাপন ও ডাইভারশন প্রদানের মাধ্যমে ভিভিআইপি চলাচলের সময় সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সমাবেশে গাড়ি নিয়ে আসা অংশগ্রহণকারীদের জন্য ড্রপিং পয়েন্ট হলো নতুন ব্রিজ গোল চত্বরের পশ্চিম পাশে, কদমতলী মোড়, ষোলশহর রেলস্টেশনের সামনে রাস্তা, শহীদ শাহজাহান মাঠ ও আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ড্রপিং পয়েন্ট শহীদ শাহজাহান মাঠ ও নিউ মার্কেট।
ভিআইপিরা যেভাবে যাবেন মাঠে
পুলিশের নির্দেশনা মতে, সমাবেশে আসা মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, কেন্দ্রীয় নেতারা, জিওসি-২৪ পদাতিক ডিভিশন, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের ড্রপিং পয়েন্ট পলোগ্রাউন্ড বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে (টাইগারপাস থেকে সব গাড়ি উল্টোপথে এসে ড্রপ করে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়ি ইউটার্ন করে কাঠের বাংলো দিয়ে সিআরবিতে চলে যাবে। মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, জিওসি-২৪ পদাতিক ডিভিশন, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের গাড়ি সোজা সামনে গিয়ে রেলওয়ে পাবলিক স্কুলমাঠে প্রবেশ করবে। ওখানে গাড়ি রেখে যেতে হবে মাঠে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের পার্কিং
কেন্দ্রীয় নেতাদের পার্কিং হবে সিআরবি সাত রাস্তা (এক সারিতে)। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গাড়ি পার্কিং হবে শহীদ শাহজাহান মাঠ ও শুভপুর বাস টার্মিনাল। এ ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কার পার্কিং পুরোনো রেলস্টেশন ও সিআরবি সাত রাস্তা। মহানগর ও জেলা নেতাদের কার পার্কিং করবেন জমিয়াতুল ফালাহ্ মসজিদ মাঠ, পুরোনো রেলস্টেশন ও প্যারেড গ্রাউন্ড। নেতাদের মাইক্রোবাস পার্কিং স্থান প্যারেড গ্রাউন্ড (চকবাজার)। এ ছাড়া সমাবেশে আসা বাসগুলো পার্কিং করবে নতুন ব্রিজ থেকে কালামিয়া বাজার এক্সেস রোড, শুভপুর টার্মিনাল, ফরেস্ট গেট (বন গবেষণা উচ্চবিদ্যালয় মাঠ), বহদ্দারহাট টার্মিনাল, শহীদ শাহজাহান মাঠ (আমবাগান রোড), আগ্রাবাদ এক্সেস রোড ও অলংকার আলিফ গলি। বিভিন্ন মিডিয়ার কার পার্কিং করবে জমিয়াতুল ফালাহ্ মসজিদ মাঠে।♥