আজ ৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি,
গোপালগঞ্জে নারকীয় তান্ডবের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে*—- এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহজাহান!
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা ১৬জুলাই বুধবার গোপালগঞ্জে নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে। তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে, সেসব অস্ত্র নিয়ে রাজনীতি করা শোভা পায় না। অবিলম্বে গোপালগঞ্জে নারকীয় তান্ডবের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সন্ত্রাসীরা অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। তাদের সৃষ্ট সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
১৭জুলাই বৃহস্পতিবার বিকালে কেরানীহাট চত্বরে গোপালগঞ্জে এনসিপির উপর ফ্যাসিস্ট ও নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের হামলা, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী, সাবেক এমপি আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চল টীম সদস্য অধ্যাপক জাফর সাদেক, এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মুহাম্মদ জাকারিয়া, সাংগঠনিক সেক্রেটারী মাওলানা নুরুল হোসাইন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য নুরুল হক, আরিফুর রশীদ, জেলা শুরা সদস্য ডাঃ আবদুল জলিল, এম ওয়াজেদ আলী, লোহাগাড়া উপজেলা আমীর অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী, সাতকানিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা কামাল উদ্দীন, চন্দনাইশ উপজেলা আমীর মাওলানা কুতুব উদ্দীন, উত্তর সাতকানিয়া থানার আমীর মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম ও সাতকানিয়া পৌরসভার আমীর অধ্যক্ষ হামিদ উদ্দীন আজাদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৬ জুলাই (বুধবার) গোপালগঞ্জ জেলায় এনসিপির পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে পতিত স্বৈরাচারের দোসর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নৃশংস হামলা চালিয়েছে। তারা এনসিপির নেতৃবৃন্দকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের গাড়িতে হামলা করে এবং তাদের অবস্থানস্থল এসপি’র অফিসেও হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের হামলায় এনসিপির বহু সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, আগামী ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ৭ দফা দাবি আদায় হলে জনগণ দীর্ঘমেয়াদী সুফল ভোগ করতে পারবে। অন্যথায় ফ্যাসিবাদ কায়েম হবে। তাই জাতীয় সমাবেশ সফল করতে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
এছাড়া মিছিলটি কেরানী হাট শহর প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।