আজ ৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃ মোকতাদের হোসেন :-
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মানিকছড়ি উপজেলার ৪ নং তিনটহরী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত জনপদ কুমারী এলাকা। উঁচু নিচু পাহাড়, অবারিত মাঠ আর সবুজ ক্ষেতে ঘেরা এই গ্রামের আঁকাবাঁকা পথ যেমন বিমোহিত করে তেমনি হতাশা আর দুখের গল্পও শোনায় প্রতিদিন।
কুমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে সাইল্যাচর বৌদ্ধ বিহার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন শতাধিক পরিবারের প্রায় ৩০০-৪০০ মানুষ। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় কাঁচা সড়কটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে এই রাস্তায় হাঁটাও দুষ্কর হয়ে ওঠে।
রোববার (৩ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিন কিলোমিটার এই কাঁচা সড়কের একতৃতীয়াংশে গর্ত ও খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কৃষি নির্ভর এই জনপদে উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও ফলফলাদি পরিবহন ও বাজারজাত, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত কিংবা মুমূর্ষু রোগীকে হাসাপাতালে আনা-নেয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্থানীয়দের।
সাইল্যাচর এলাকাবাসী জানায়, ‘যুগের পর যুগ এভাবেই বর্ষার মৌসমে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে এখানকার মানুষ। যেন দেখার কেউ নেই! এই সড়কে উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও পড়েনি কখনো’। দ্রুত এই সড়কটি সংস্কারের দাবি জানায় এলাকাবাসী।
শিক্ষার্থী উষাপ্রু মারমা বলেন, ‘সাইল্যাচর পাড়া এলাকা থেকে প্রাথমিকের অর্ধশতাধিক আর আমরা মাধ্যমিকের ১২-১৫ জন নিয়মিত এই কাঁচা সড়কে হেঁটে স্কুলে যাতায়াত করি। বর্ষা মৌসমে খুবই কষ্ট হয় যাতায়াতে। কাঁদামাটিতে জামাকাপড় ও জুতা নষ্ট হয়ে যায়’।
স্থানীয় পাড়া কার্বারী উসামং মারমা আক্ষেপ করে বলেন, ‘বর্ষার ছয় মাস একটি শিশুও ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারেনা। মানুষ অসুস্থ্য হলে প্রাচীন কালের মতো কাঁধে করে মূল সড়কে নিতে হয়। এ অভিশাপ থেকে আমরা মুক্তি চাই’।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কংচাইরী মারমা জানান, ‘এই সড়কটি সংস্কারে ইউনিয়ন পরিষদ ও এলজিইডি’র মাধ্যমে একাধিকবার প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও কোন ফল মেলেনি’শুধুমাএ পেয়েছি পতিশ্রুতি ।
মানিকছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবতা কর্মকর্তা (পিআইও) কাজী মাসুদুর রহমান বলেন, এই সড়কটি আমরা পরিদর্শন করেছি, বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে যত দ্রুত সম্ভব এই সড়কটি সংস্কার করা হবে’।