আজ ৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃ ফসিয়ার রহমান পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি ” খুলনার পাইকগাছার শিবসা নদী খননের কোন উদ্যোগ নেই। অতচ খননের দাবীতে বার বার আন্দোলন,সংগ্রাম হয়েছে।খননের দাবীতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অসংখ্য বার করা হয়েছে লিখিত আবেদন।কিন্তু শুধু আশ্বাস মিলেছে ২৭-২৮ বছরেও বাস্তবায়ন করেনি সরকার।বরং কয়েক বছরের মধ্যে বিশাল অংশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় পরিনত হয়েছে গোচারণভূমিতে। বে-দখল হয়ে গেছে শত,শত বিঘা জায়গা।উপজেলা সদরের শিববাটী ব্রিজ হতে হাড়িয়া পর্যন্ত নদীর প্রায় ১৫ কিলোমিটার ভরাট হয়ে গেছে।যা ভুমি থেকে অনেক উঁচু হয়ে গেছে। নদীটি খননের জন্য বিভিন্ন সংস্থা,বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সভা সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে।১৯৯৭-৯৮ সাল থেকে এ অবস্থার শুরু হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া হয়েছে স্মারকলিপি ও আবেদন। দ্রুত খনন করা হবে এমন আশ্বাস কতৃপক্ষ দিয়েছিলেন।কিন্তু আশ্বাস আশ্বাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। হয়নি কোন অগ্রগতি। উল্টো নদীর জায়গা ভুমি দস্যুরা ইচ্ছে মত দখল করে নিচ্ছে। এক সময় যে নদীতে ছিল প্রবল জোয়ার-ভাটার স্রোত। চলতো লঞ্চ,স্টিমার নৌকা,স্পীড বোর্ড।ছিল খেয়াঘাট।নদী ভরাট হওয়ার কারণে এসব এখন শুধুই স্মৃতি।সেখানে এখন চরে গবাদি পশু।অন্যদিকে দখলবাজরা একাধিক বাঁধ দিয়ে করছে মাছের ঘের। গড়ে তুলেছে অবৈধ স্থাপনা।প্রশাসনের নিরাবতার কারণে দখলের প্রবতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সরজমিনে জানা যায়।
উপজেলা পানি উন্নযণ বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দীন (সাবেক) বলেন আমি পাইকগাছায় থাকালীন সময়ে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় কতৃপক্ষকে বার বার লিখেছি।
বর্তমান কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন,পাইকগাছাবাসীর জন্য শিবসা নদী খনন খুবই জরুরী।এটা না হলে পাইকাগাছা বার বার জলবদ্ধতার শিকার হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহের নাজনীন বলেন, শিবসা খননটা হলে জলবদ্ধতার হাত থেকে পাইকগাছাবাসী রক্ষা পাবে। দখলবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হবে।