আজ ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মো: ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ (রিপন) নোয়াখালী সংবাদদাতা:-
নোয়াখালীর সেনবাগে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকে প্রায় ২ কোটি টাকার জালিয়াতি ও আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক ও বর্তমান সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে নোয়াখালী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক চিন্ময় চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) তিনি নোয়াখালী স্পেশাল সিনিয়র জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামি হলেন- চট্রগ্রামের বোয়ালখালীর পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার নুর উল্যাহর ছেলে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন। নোয়াখালী জেলার সেনবাগ আনসার–ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকে প্রায় ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকার জালিয়াতি ও আত্মসাতের ঘটনায় তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় এই মামলা করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও সাবেক ব্যবস্থাপক আলমগীর আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক সেনবাগ শাখায় প্রথমে ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল এবং পরে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে কর্মরত থাকা অবস্থায় ৮৯টি ভুয়া ঋণ বিতরণ দেখিয়ে প্রায় ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এর আগে জেলা শহরের দত্তেরহাট আনসার–ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকে প্রায় ৭ কোটি টাকার জালিয়াতি ও আত্মসাতের ঘটনায় তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) নোয়াখালী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান বাদী হয়ে নোয়াখালী স্পেশাল সিনিয়র জজ আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
প্রথম মামলা সূত্রে জানা গেছে, আলমগীর প্রথমে ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালে জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপে আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক নোয়াখালী শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও সাবেক ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় ৩ জন ভুয়া ঋণ গ্রহীতার মাধ্যম ২১ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ প্রাথমিকভাবে প্রায় ৬ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
নোয়াখালী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক চিন্ময় চক্রবর্তী গণমাধ্যম কে বলেন, দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের নির্দেশে গত ২০ অক্টোবর ব্যাংক শাখায় অভিযানে গিয়ে কর্মকর্তারা রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও যাচাই করেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক উপস্থিত না থাকলেও সংরক্ষিত নথিতে অসংখ্য অনিয়ম ধরা পড়ে। ব্যাংকের বিভিন্ন রেকর্ডে ভুয়া দলিল, জাল স্বাক্ষর ও জালিয়াতির স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন কখনোই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেবে না। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।